আবাসিক হোটেলের পেছনে মিলল লাশ

সিলেট নগরের বন্দরবাজারের লালবাজারে একটি আবাসিক হোটেলের পেছনে পড়ে ছিল অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ। তাঁর বয়স ৫২ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। পুলিশ বলছে, মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে লালবাজারের মোহাম্মদীয় আবাসিক হোটেলের পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশটি সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হোটেলের পেছনে লাশটি দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ওই ব্যক্তিকে হত্যার পর লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ওই আবাসিক হোটেলে বর্ডার হিসেবে ওঠেননি। তাঁর লাশ যে স্থানে পড়ে ছিল, সে জায়গায় পৌঁছাতে হোটেলের অভ্যন্তরের একটি কক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত শৌচাগার হয়ে প্রবেশ করতে হয়। হোটেলের ওই কক্ষ ব্যবস্থাপক ব্যবহার করেন। এ ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। লাশটি ভবনের ওপর থেকেও পড়ার সম্ভাবনা নেই। সেই সঙ্গে পাশের ভবনগুলো থেকেও সেখানে আসার সম্ভাবনা নেই। লাশ ফেলারও সুযোগ নেই।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হোটেলের সংশ্লিষ্ট কেউ ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে সেখানে লাশটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। এ জন্য আবাসিক হোটেলটির চারজন কর্মচারী ও ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, লাশটি যেখানে পড়ে ছিল সেখানে আশপাশের ভবনগুলো থেকে আসা-যাওয়ার কোনো পথ নেই। সেই সঙ্গে আবাসিক হোটেলটির সামনে থেকে সেখানে লাশ নিয়ে যাওয়ার পথ বা খুন করে ফেলে রেখে যাওয়ার মতো নয়। ভবনের ওপর তলা থেকেও লাশটি নিচে আসার সুযোগ নেই।

ওই ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে আবু ফরহাদ বলেন, ওই ব্যক্তির বাম কানের নিচে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের গভীর চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে এক দিন আগে হত্যার পর সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআই ও সিআইডির আলাদা দল ওই ব্যক্তির আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে।