আমতলী পৌর মেয়রের ভাগনেসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম

কোপানো
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলী পৌরসভার মেয়রের ভাগনেসহ দুজনের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইঠা এলাকার শারিকখালী খালের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার দুজন হলেন আবুল কালাম আজাদ ও মো. হাসান মৃধা। আহত আজাদ আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগনে। আহত হাসান আমতলী উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্বজনদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কৌশলে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে আজাদ ও হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ ও হাসান মৃধা শুক্রবার রাত আটটার দিকে দাওয়াত খেতে উপজেলার মাইঠা গ্রামে যান। ওই গ্রামের রাস্তায় ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে দুজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আজাদ ও হাসানকে ধরে শারিকখালী খালের পাড়ে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। আজাদের দুই হাতের বাহু, তালু, কবজি, দুই হাঁটু, পায়ের গোড়ালিতে কোপানো হয়েছে। আর হাসানের দুই হাতের বাহু ও কবজিতে কোপানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা দুজনকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় দুজনকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মোর্শেদ আলম বলেন, গুরুতর আহত আজাদের দুই হাত ও দুই পায়ের বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন কোপের চিহ্ন। তাঁর রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর হাসানের দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হামলার বিষয়ে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কৌশলে তাঁর ভাগনে আজাদ ও শ্রমিক লীগ নেতা হাসানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এমন বর্বর হামলা দুঃখজনক। এ বর্বরতার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সন্ধানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।