আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, দুই শিশুসহ আহত ৩

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে বাসচাপায় রেহেনা বেগমের (৩৫) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় দুই শিশুসহ আহত হয়েছে তিনজন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলায় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের রাজমিস্ত্রি আফজাল হোসেন ব্যাপারীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা রেহেনা বেগম তাঁর চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাসে করে পটুয়াখালীর ফুলতলা গ্রামে এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এ সময় চাচিশাশুড়ি পিয়ারা বেগম (৬০) ও তাঁর পাঁচ বছর বয়সী নাতনি খাদিজা তাঁর (রেহেনা) সঙ্গে ছিল। তাঁরা যাচ্ছিল মেহেলী ক্ল্যাসিক নামের একটি বাসে। পথে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে বাসটি যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য দাঁড়িয়েছিল। এ সময় গলাচিপা থেকে আসা নিশাত পরিবহন নামের অপর একটি বাস মেহেলী ক্ল্যাসিক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ইঞ্জিন বক্সের ওপর বসে থাকা যাত্রী রেহেনা বেগম, তাঁর শিশুসন্তান রিয়ামণি, চাচিশাশুড়ি পিয়ারা বেগম ও তাঁর নাতনি খাদিজা গাড়ির দরজা দিয়ে ছিটকে সড়কে পড়ে যায়। পরে নিজেদের বাসটির চাকায় রেহেনা বেগম ও তাঁর কোলে থাকা শিশুসন্তান চাপা পড়ে এবং পিয়ারা বেগম ও তাঁর নাতনি খাদিজা গুরুতর আহত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেহেনা বেগম নিহত হন।

আরেকটি বাস ধাকা দিলে বাসের ইঞ্জিন বক্সের ওপর বসে থাকা যাত্রী রেহেনা বেগম, তাঁর শিশুসন্তান রিয়ামণি, চাচিশাশুড়ি পিয়ারা বেগম ও তাঁর নাতনি খাদিজা গাড়ির দরজা দিয়ে ছিটকে সড়কে পড়ে যায়।

গুরুতর আহত রিয়ামণি, খাদিজা ও পিয়ারা বেগমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে আমতলী থানা-পুলিশ মেহেলী ক্ল্যাসিক বাসটিকে আটক করে এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পরপরই চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান এবং নিশাত পরিবহনের বাসটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ক্ল্যাসিক পরিবহনের বাসটি আটক করা হয়েছে।