আ.লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের মামলায় ছেলেসহ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন হাইদগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন মোহাম্মদ জসিম ওরফে বি এম জসিম (৫৬) ও তাঁর ছেলে মুসফিক উদ্দীন ওয়াসি (২৪)। আজ শনিবার সকাল সাতটার দিকে হাইদগাঁও বাড়ির পাশ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বি এম জসিম হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় তাঁকে দল থেকে তখন বহিষ্কার করা হয়।
নির্যাতনের শিকার জিতেন কান্তি গুহ হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদ এবং হাইদগাঁও উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, সকালে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেন বি এম জসিম। এ সময় তিনি পায়ে আঘাত পান। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় সেখানে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার পূর্ব হাইদগাঁও গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারের হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিকেল তিনটার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জসিমসহ তাঁর পক্ষের লোকজন এসে জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পটিয়া থানা সূত্র জানায়, এ ঘটনায় গতকাল রাতে জিতেন কান্তি গুহের ছোট ভাই তাপস কান্তি গুহ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জসিমকে প্রধান আসামি এবং তাঁর ছেলে মুসফিক উদ্দীন ওয়াসিকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।