আ.লীগ প্রার্থীর হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ কর্মী-সমর্থক আহত

বরগুনা জেলার মানচিত্র

বরগুনার আমতলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাতজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজার, গোজখালী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন রাসেল, মনু মিয়া, মিজান, মহিবুল, জাহিদ, আমিনুল ও শিল্পী। তাঁরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুর রহমান আসাদ মৃধার কর্মী-সমর্থক। আহত রাসেল আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত মনু মিয়াকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ জুন। নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল সন্ধ্যায় গুলিশাখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনিরের নেতৃত্বে তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুরের সাত কর্মী-সমর্থককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছেন।

আহত রাসেল বলেন, গুলিশাখালী বাজারে নৌকার প্রার্থী মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী তাঁকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনার জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।

আহত মনু মিয়ার ভাষ্য, গোজখালী বাজারে নৌকার কর্মী মো. নাঈম ইসলামসহ ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী মিলে বাজারে অস্ত্রের মহড়া দেয়। এ সময় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ওই বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে গুলিশাখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকেরা শান্তভাবে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছে। কাউকে ভয়ভীতি দেখানো বা অস্ত্র প্রদর্শন করে মহড়া দেয়নি।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আহত রাসেলকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আমতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।