আ.লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী আহত

নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে আহত শিক্ষার্থী ইসমাইল। বুধবার দুপুরে
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বরুড়ায় বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ককটেল বিস্ফোরণে সুমাইয়া জালাল তিশা ও ইসমাইল হোসেন নামের নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার ঝলম বাজারে ওই ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল আনাম এয়াকুবের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ঝলম ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট চারজন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছেন, যিনি ওই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আহত সুমাইয়া হজারপাড় গ্রামের মো. শাহজালালের মেয়ে। তার শরীর ও মাথায় স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। অপর শিক্ষার্থী ইসমাইল বিলপুকুরিয়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে। তার পেট ও বুক ঝলসে গেছে। দুজনই ঝলম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী।

আহত সুমাইয়ার শরীর ও মাথায় স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। অপর শিক্ষার্থী ইসমাইলের পেট ও বুক ঝলসে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল সুমাইয়া ও ইসমাইল। তারা দুপুর ১২টায় ঝলম বাজারে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল আনাম এয়াকুবের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে পৌঁছামাত্র একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। খবর পেয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল ও বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নৌকার প্রার্থী খায়রুল আনাম এয়াকুব বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন এই হামলা করেছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’

বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।