আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর আবেদন জমা না নেওয়ার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ছেন সামসাদ রানু
প্রথম আলো

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসাদ রানুর আবেদনপত্র জমা না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন জেলা কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা সামসাদ রানু।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলছেন, নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়ন চেয়ে আবেদন জমা দেওয়ায় তা গ্রহণ করা যায়নি। মতিয়ার বর্তমানে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের একজন।

পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সামসাদ রানু লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরের ৭ এপ্রিল থেকে পৌরসভার বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদিরের সঙ্গে তাঁর (সামসাদ) বিরোধ চলে আসছে। তিনি মেয়রের যাবতীয় দুর্নীতির কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ করেন। যে কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসায় নেমেছে।

সামসাদের অভিযোগ, পৌর কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মেয়র হাসান কাদিরের নির্দেশনায় মনোনয়নপত্র জমা নেননি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার জন্য ৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় ঠিক করে দেওয়া হয়। অথচ ওই দিন দুপুর ১২টায় গেলেও খোঁড়া অজুহাতে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়নি। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওই সময় বলেন, এটা আওয়ামী লীগের অফিস, এখানে কৃষক লীগের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে না।

সামসাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পৌর আওয়ামী লীগে আগ্রহী সবার কাছ থেকে আবেদন চেয়ে স্থানীয় সব কটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ৪ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা।

নির্ধারিত সময়ে সাতজন আবেদনপত্র জমা দেন। অথচ সামসাদ পরদিন দুপুর ১২টায় এসে আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। সময় পার হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁকে বুঝিয়ে বলার পরও পরিবেশ ঘোলা করতে যাচ্ছেতাই করে যাচ্ছেন।

এদিকে পৌর আওয়ামী লীগ থেকে তিনজন প্রার্থী নির্বাচন করে দলের জেলা কার্যালয়ে পাঠানোর কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মতিয়ার রহমান বলেন, ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কোনো সমাধান হয়নি। যে কারণে জেলা কমিটিকে সমাধান করতে অনুরোধ করা হয়েছে।