আ.লীগের ১১ নেতার বিরুদ্ধে মির্জার অনুসারীর মামলা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সহসভাপতিসহ ১১ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই মামলা করা হয়।

মামলার বাদী মো. হামিদ উল্যাহ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মামলার আসামিদের মধ্যে ১০ জনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাদল), উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশিদ (মঞ্জু), উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ জ ম পাশা চৌধুরী (রুমেল), জেলা পরিষদের সদস্য আকরাম উদ্দিন (সবুজ), ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হাসিব আহসান, চর কাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান (আরিফ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়েদুল হক, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বাদী হামিদ অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান ফেসবুক লাইভে ঘোষণা করেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তাঁর অনুসারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই মারধরসহ প্রতিরোধ করা হবে। এতে বাদীর নেতা আবদুল কাদের মির্জা ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখনো মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে খিজির হায়াত খান আজ রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাঁচ মাস ধরে কাদের মির্জা যেসব অপরাধ করে আসছেন, তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হওয়ার কথা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলাই রেকর্ড করেনি। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা মামলাটি আইনিভাবে মোকাবিলা করব।’