আশুগঞ্জে র‌্যাবের অভিযান, মদসহ গ্রেপ্তার ২২

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আর জে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের মদসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে এ অভিযান চালায় র‍্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার বাড্ডার ফেরদৌস চৌধুরী (৩৪), শেরপুর নকলার মো. আলাউদ্দিন (২৪), রাজবাড়ীর আকমল হোসেন (৪২), নেত্রকোনার মনিরুজ্জামান (২৪), ময়নমনসিংহ নান্দাইলের আশিক (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মো. রুবেল (২৩), সরাইলের মুন্না (২৩), জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডার জাকির হোসেন (৩৫), কাউতলীর মো. শাহজাহান (৪৫), ভাদুঘরের আনোয়ার হোসেন (৪২), সদর উপজেলার দক্ষিণ জগৎসারের শাহিনুর (৩৫) ও চান্দপুরের মনির ঠাকুর (৩৫), ঢাকা দোহারের সাইফুল ইসলাম (২৭), সিরাজগঞ্জের অলিপুরের মো. হায়দার (২৮), জামালপুরের জুয়েল রানা (২৩), নরসিংদীর রুবেল মিয়া (২৭), বরিশালের জব্বার (২৩), পটুয়াখালীর আল আমিন (২৭), কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচরের ইকবাল (২৫), মান্না মিয়া (২৪), তন্ময় মোল্লা (২৪) ও ভৈরব উপজেলার রাজনগর গ্রামের নবী হোসাইন (২৮)।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প জানতে পারে আশুগঞ্জের আর জে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডে বৈধ ব্যবসায়ের আড়ালে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। রিসোর্টের ভেতরে মদ পরিবেশন করার কথা থাকলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে রিসোর্টের বাইরে বিদেশি মদসহ বিয়ার বিক্রি করে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ অনুমোদনবিহীন বিদেশি মদ ও বিয়ার সংগ্রহ ও পরিবেশন করে থাকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইনের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ওই ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের অনুমোদনহীন হুইস্কি ও ভোদকা জাতীয় ৭৬ বোতল বিদেশি মদ, ৭২ ক্যান বিদেশি ভোদকা, ১৩১ ক্যান বিদেশি বিয়ার এবং মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৬৮ হাজার উদ্ধার করা হয়।


র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, রিসোর্টের ভেতরে মদ পরিবেশন করার কথা থাকলেও তারা নিয়মিতভাবে রিসোর্টের বাইরে বিদেশি মদসহ বিয়ার বিক্রি করে। পাশাপাশি তারা অনুমোদনবিহীন বিদেশি মদ ও বিয়ার সংগ্রহ ও পরিবেশন করে থাকে। শর্তানুযায়ী লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের নিকট মদ ও বিয়ার পরিবেশন করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু তারা শর্ত ভঙ্গ করে লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তিদের কাছে মদ বিক্রি ও পরিবেশন করে।
তিনি আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদনকৃত ব্যক্তিদের মাধ্যমে মদ পরিবেশন ও বিক্রি করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা অনুসরণ করে না। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ বিদেশি মদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।