আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আনন্দের প্রথম ঈদ

কোরবানির জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের গরু উপহার দেয় জেলা প্রশাসন। ঈদের দিন সে গরু কোরবানি দেন বাসিন্দারা। বুধবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মোহাজিরাবাদ এলাকায়।
ছবি: প্রথম আলো

নিজেদের নামে জমি, সেই জমিতে নতুন ঘর। বুধবার ঈদের দিনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই নতুন ঘরে প্রথম কোরবানির ঈদ উদ্‌যাপন করছেন সুবিধাভোগীরা। অন্যের জমিতে বা বাড়িতে থাকা মানুষগুলোর ঈদের দিন ছিল অন্যবারের চেয়ে আলাদা। নতুন বাড়িতে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মোহাজিরাবাদ এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোরবানির জন্য একটি গরু উপহার দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই গরু কোরবানির পর সবাই মাংস ভাগ করে নিয়েছেন।  

আসিয়া বেগম নামের একজন বলেন, ‘জীবনে ভাবছি না নিজের ঘরে ঈদ করতে পারমু। প্রতিবছর কেউর না কেউর (কারও না কারও) দুয়ারে গিয়া থাকতাম একটু মাংসের আশায়। এইবার আল্লায় মুখ তুলিয়া চাইছইন। নতুন ঘরে প্রথম ঈদ করলাম। এর মতো আনন্দের কিছু নাই।’

মোহাজিরাবাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর পেয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বী একটি পরিবার। এই পরিবারের প্রধান বীরাঙ্গনা শীলা গুহ বলেন, উপজেলা থেকে এখানে কোরবানির জন্য একটি গরু দেওয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া হয়েছে দুটি মুরগি। এতে তাঁরাও উৎসবের আমেজ পেয়েছেন।

আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারীদের জীবনযাপনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। ফলে এবারের ঈদটাও তাঁদের কাছে অন্য রকম। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার মধ্যেই ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে গেছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে আগামী বছর সবাই মিলে কোরবানি দিতে পারবেন বলে তাঁর আশা।