আড়াই বছরের মেয়েটি যন্ত্রণায় ছটফট করছে
গাজীপুরের শ্রীপুরের আড়াই বছরের একটি মেয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করছে। শিশুটির দাদার অভিযোগ, অ্যাসিড–জাতীয় কিছু দিয়ে শিশুটির সৎমা তার নিম্নাঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি করেছেন। শিশুটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনি এমন করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। তবে বর্তমানে শিশুটির সঙ্গে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থান করা সৎমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভাতের গরম মাড়ে পড়ে শিশুটির এমন অবস্থা।
শিশুটির দাদা মো. আফাজ উদ্দিন ১২ আগস্ট শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য, তাঁর ছেলে মোস্তফা কামালের সঙ্গে চার বছর আগে শিশুটির মায়ের বিয়ে হয়। এরপর মোস্তফা দুবাই চলে যান। সেখানে তিনি আলিফা আক্তারকে বিয়ে করেন। মেয়েটির মা তখন বাবার বাড়িতে চলে যান। শিশুটিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে রেখে মোস্তফাও চলে যান দুবাই। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর নাতনিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন সৎমা। পরে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে নাতনিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। ১১ আগস্ট থেকে হাসপাতালে আছে শিশুটি। তার পায়খানা ও প্রস্রাবের জায়গায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
শিশুটির দাদা গতকাল শুক্রবার অভিযোগ করেন, জমি লিখে না দেওয়ায় জেদ করে শিশুটিকে নির্যাতন করে এমন অবস্থা করেছেন তার সৎমা।
শিশুটির সৎমা আলিফা আক্তার অভিযোগের বিষয়ে বলেন, তিনি নির্যাতন করেননি। শিশুটি অসাবধানতাবশত ভাতের গরম মাড়ে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর তিনি শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। বর্তমানে চিকিৎসাধীন শিশুটির সঙ্গে তিনি ঢাকার হাসপাতালে আছেন।
শিশুটির চাচা মো. তারেক মিয়া আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছোট ভাতিজিটি শুধু কাঁদছে। যন্ত্রণায় ছটফট করছে, খাবার খেতে চাচ্ছে না। চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন, সেগুলো আজই করা হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’