ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনার বিচার শুরু

ওয়াহিদা খানম
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার একমাত্র আসামি রবিউল ইসলামের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোববার দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল তাঁর আদালতে আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

দিনাজপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন বলেন, সকালে আসামি রবিউলকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে আদালতের বিচারক আসামির উপস্থিতিতে শুনানির পর অভিযোগ গঠন করেন। আসামিকে ৪৫৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬,৩৮০ ও ২০১ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশি প্রতিবেদনে ৫৩ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

গত বছরের ২১ নভেম্বর দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রবিউলকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম আবু জাফর। আসামি রবিউল দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিজোড়া গ্রামের খতিবউদ্দিনের ছেলে ও ঘোড়াঘাট ইউএনও কার্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।

এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সরকারি ডাকবাংলোতে হামলার শিকার হন ঘোড়াঘাটের তৎকালীন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখ। এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। ঘটনার আট দিন পর গোয়েন্দা পুলিশ আসামি রবিউলকে তাঁর বাসা থেকে আটক করে। ২০ সেপ্টেম্বর রবিউল দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ হামলার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।