ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুবলীগের মানববন্ধন

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা যুবলীগের মানববন্ধন। সোমবার বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে
প্রথম আলো

বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোয়ারদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা যুবলীগ। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন থেকে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তবে ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনায় থানায় সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ূন কবির, কাউন্সিলর রইসুল আলম, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান প্রমুখ। মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শুক্রবার দুপুরে ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরিফ। অনুষ্ঠানে খাওয়া শেষ করে আগেই বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান ইউসুফ। এর ১৫-২০ মিনিট পর বেলা ২টার দিকে বিয়ে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন ইমাম হাসান।

কিছু দূর যেতেই ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ইমাম হাসানের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাঁকে কোপাতে শুরু করে। এতে তিনি মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁর পায়ে ও হাতে কোপানো হয়। সেখানে লোকজন থাকলেও কেউ সাহস করে দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করতে কাছে যাওয়ার সাহস করেননি। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ইমামকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওই দিন রাতেই ইউপি চেয়ারম্যানকে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।