ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়িতে মিলল ফেনসিডিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য আবদুল হান্নানের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ফেনসিডিল বহনের সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও একজন যুবলীগের সাবেক নেতা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার পদচারী–সেতুর নিচ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন (৩২), উত্তর হাওলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও বরল্লা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হালিম (৩৩), একই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বরল্লা গ্রামের বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন (৩৮) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য ও বরল্লা গ্রামের মো. শামীম (৩৫)।

গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে বাজারের ব্যাগের ভেতরে থাকা ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।

আবদুল হান্নান গত ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উত্তর হাওলা ইউনিয়ন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন তিনি।

কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গোপনে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল পদুয়ার বাজার পদচারী–সেতু এলাকার দক্ষিণ প্রান্তে লাকসাম সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। এরপর ওই ব্যক্তিগত গাড়িতে তল্লাশি করে ২০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজন জানিয়েছেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজারের এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফেনসিডিল কিনে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। এর মধ্যে আবদুল হালিম উত্তর হাওলা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যকেন্দ্রে কাজ করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান আবদুল হান্নানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।