প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার চাইলেন বাবা

ফেসবুক লাইভে শ্রীরামকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের বিচার চেয়ে বাবা প্রফুল্ল রঞ্জন মৈত্র
ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা প্রফুল্ল রঞ্জন মৈত্র ফেসবুক লাইভ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন। সম্প্রতি প্রফুল্ল রঞ্জন মৈত্র ফেসবুক লাইভে এসে ছেলের অত্যাচারে তিনি অতিষ্ঠ বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের আকুতি জানান। এরপর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

৩ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে প্রফুল্ল রঞ্জন মৈত্র প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মা হাসিনা, তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ। নৌকা নিয়ে নির্বাচিত পিরোজপুরের শ্রীরামকাঠী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্র ইউনিয়ন চষে খাচ্ছে। মা তোমার কাছে আমার অনুরোধ, আমি হলাম তার পিতা। উত্তমের মা মারা গেছে। সে মারা গেলে উত্তম ঘরের আলমারি ভেঙে সাত লাখ টাকা নিয়ে গেছে। আমার স্ত্রী সরকারি চাকরি করত। তার ব্যাংকের কাগজপত্রসহ দলিলপত্র উত্তম নিয়ে গেছে। আমাকে মেরেছে। আমি বর্তমানে অসহায়ভাবে জীবন যাপন করতেছি। আমি এর বিচার চাই।’

ছেলে আওয়ামী লীগদলীয় ইউপি চেয়ারম্যান। সে খুব প্রভাবশালী। তার অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ। নিরুপায় হয়ে ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছি।
প্রফুল্ল রঞ্জন মৈত্র

এই ভিডিও শেয়ার করে অনেকেই লিখেছেন, বাবার এই আর্তনাদের কারণ যে ছেলে, তাঁকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।

আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বোনেরা বাবাকে কুপরামর্শ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করে তুলেছেন। তাঁকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলিয়ে তা ফেসবুকে ছেড়েছেন।
উত্তম কুমার মৈত্র, শ্রীরামকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান

জানতে চাইলে প্রফুল্ল রঞ্জন মৈত্র প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলে আওয়ামী লীগদলীয় ইউপি চেয়ারম্যান। সে খুব প্রভাবশালী। তার অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ। নিরুপায় হয়ে ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছি। জানি না আমার এ আর্তনাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবে কি না?’

অভিযোগের বিষয়ে শ্রীরামকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্র বলেন, ‘আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বোনেরা বাবাকে কুপরামর্শ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করে তুলেছেন। তাঁকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলিয়ে তা ফেসবুকে ছেড়েছেন। আমার বিরুদ্ধে বাবার করা অভিযোগ সঠিক নয়।’