ইউপি নির্বাচন করার কথা বলায় চড়-থাপ্পড়, রাতে মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদস্যপদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় গতকাল সোমবার সকালে এক ব্যক্তিকে ভর্ৎসনা ও চড়-থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম ওয়াহেদ মিয়া (৫৫)। তিনি উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে বাসিন্দা। একই ইউনিয়নের চারগাছ বাজারে রেস্তোরাঁর দোকান আছে তাঁর। ওয়াহেদের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়াহেদ মিয়া মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যপদে নির্বাচন করার কথা গতকাল সকালে চারগাছ বাজারে বলাবলি করতে থাকেন। এতে একই গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহিম প্রকাশ্যে তাঁকে ভর্ৎসনা করেন ও গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে রহিমের ছোট ভাই মান্নান মিয়া তাঁকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি এলাকার মাতব্বরদের জানিয়ে ওয়াহেদ মিয়া বাজারেই অবস্থান করেন। রাত সাড়ে ৯টায় আবু ছায়েদের চায়ের দোকানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওয়াহেদ। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কসবা থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়া বলেন, তাঁর বাবার সঙ্গে কারও কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। বাজারে কে, কী বলেছেন, এসব ভাবতে ভাবতেই রাতের বেলায় হার্ট অ্যাটাকে তিনি মারা গেছেন।
ওয়াহেদের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলে জানান সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহিম। তিনি বলেন, তাঁর ভাই বাছিরের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এ বিষয়ে সকালে বাজারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তবে তাঁকে কেউ চড়-থাপ্পড় বা মারধর করেনি। রাতের বেলায় ওয়াহেদ মারা যান।
মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাঈনুল হোসেন বলেন, নিজেদের মধ্যে দুপুরে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। রাতের বেলায় বাজারেই হার্ট অ্যাটাক হলে তিনি পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওয়াহেদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রাতেই পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে গেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে।