ইজারার ভিত্তিতে শিগগিরই পাটকল চালু করা হবে: পাটমন্ত্রী

রাজশাহী রেশম বোর্ডে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। রোববার রাজশাহী রেশম বোর্ডে
ছবি: প্রথম আলো

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলো ইজারার ভিত্তিতে শিগগিরই চালু করা হবে। এখন পাটকলগুলো বসে আছে। পাটকলগুলো চালু হলে শ্রমিকেরা আর বেকার থাকবেন না। তিনি রোববার বিকেলে রাজশাহী রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

রেশম শিল্পের উন্নয়নের বিষয়ে পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘আমরা রেশম উন্নয়নে কীভাবে উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে এর গুণগত মান ভালো করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। এখানে একদিকে গবেষণার ব্যাপার আছে, আরেক দিকে আমাদের ব্যবস্থাপনার ব্যাপার আছে। এগুলো ঠিকভাবে করতে পারলে আমাদের রেশমের উৎপাদন খরচ কমে যাবে। আর উৎপাদন খরচ কমাতে পারলে সিল্ক সাধারণ মানুষও কিনতে পারবে।’

সন্ধ্যার দিকে মন্ত্রী রাজশাহী রেশম কারখানায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাপড় উৎপাদনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মোট ১৯টি লুম নিয়ে এখন কারখানায় বস্ত্র তৈরি করা হবে। এতে বছরে ২৫ থেকে ২৬ হাজার মিটার রেশম কাপড় তৈরি করা সম্ভব হবে।

রেশম কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সহসভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আবদুল হাকিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রেশম কারখানায় বস্ত্র উৎপাদনের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী রেশম কারখানার বিক্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

রাজশাহী রেশম কারখানা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর রেশম কারখানা গড়ে ওঠে। ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। এতে বেকার হয়ে পড়েন কারখানার প্রায় ৩০০ শ্রমিক। সাংসদ ফজলে হোসেন রেশম বোর্ডের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর কারখানাটি চালুর উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের ২৭ মে পরীক্ষামূলকভাবে কারখানার পাঁচটি লুম চালু করা হয়। এরপর আরও ১৪টি লুম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মন্ত্রী এসব লুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন। পর্যায়ক্রমে কারখানার আরও ২৩টি লুম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।