ইজিবাইক চুরি করতে ফকিরহাট থেকে মঠবাড়িয়ায় এনে হত্যা

প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ইজিবাইকচালক (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) আলমগীর হোসেনের (২৯) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার পুলিশ। আলমগীর হোসেনের ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

গত রোববার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া এলাকায় বড়মাছুয়া-জানখালী সড়কে ফেলে রাখা অবস্থায় ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের নির্মাণাধীন একটি পাকা ভবনে বালুর মধ্য থেকে আলমগীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ সোমবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র ইজিবাইকের যাত্রী সেজে আলমগীর হোসেনকে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলার বাঁশবুনিয়া এলাকায় নিয়ে হত্যা করে ইজিবাইকটি চুরি করে।

ওসি এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, নিহত আলমগীর হোসেন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। ৪ এপ্রিল আলমগীর হোসেন বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে ইজিবাইক নিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ এপ্রিল ফকিরহাট থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে আলমগীর নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

গত রোববার সকালে মঠবাড়িয়ার বাঁশবুনিয়া গ্রামের ইউসুফ মাতুব্বরের নির্মাণাধীন পাকা ভবনের বালুর মধ্যে একটি লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

বিকেলে নিহত আলমগীর হোসেনের স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ আলমগীর হোসেনের ইজিবাইক উদ্ধারে অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেন, উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের আরিফ মৃধা (৩০) একটি ইজিবাইক নিয়ে উপজেলার বড়মাছুয়া-জানখালী সড়কে রয়েছেন। সন্ধ্যায় পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইজিবাইকটি উদ্ধার করে। ইজিবাইকের মধ্যে আরিফ মৃধার পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। তবে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে আরিফ মৃধা ইজিবাইক সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

ওসি এ জেড এম মাসুদুজ্জামান আরও বলেন, আরিফ মৃধার সঙ্গে বাগেরহাটের শরণখোলা জুয়েল ও তাঁর ভাই সান্টু এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। এরা একটি সংঘবদ্ধ ইজিবাইক চোর চক্র। এ ঘটনায় জুয়েল ও তাঁর স্ত্রী সালমাকে গ্রেপ্তার করেছে ফকিরহাট থানা–পুলিশ। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় মামলা হয়েছে।