ইমু ও গয়ালের সংসারে নতুন অতিথি

নতুন বাচ্চাটিসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গয়ালের সংখ্যা ১০টি
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অস্ট্রেলিয়ান পাখি ইমু ২০ ডিসেম্বর বাচ্চা দিয়েছে। গয়ালের ঘরেও এসেছে নতুন অতিথি। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর গয়াল বাচ্চা দিয়েছে। আজ রোববার পার্ক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানায়।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০ ডিসেম্বর ইমু পাখির একটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এ ছাড়া আরও ৭টি ডিম নিয়ে বসে আছে পাখিটি। হয়তো পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আরও ছানা পাওয়া যেতে পারে। প্রথমে তিনটি ইমু পাখি কেনা হয়েছিল। আগে চারটি ছানা পাওয়া গেছে। এখন আরও একটা পেলাম।’

পার্কে অস্ট্রেলিয়ান পাখি ইমুর ডিম ফুটে ২০ ডিসেম্বর বাচ্চা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

আনিসুর রহমান আরও বলেন, ইমুগুলো চট্টগ্রামের ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক থেকে আনা হয়েছিল। উচ্চতার দিক থেকে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। এরা উড়তে পারে না। এদের পা দীর্ঘকায়। প্রাপ্তবয়স্ক ইমু ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এরা লম্বা পায়ে প্রতি পদক্ষেপে ২ ফুটের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। প্রাপ্তবয়স্ক একটি ইমু ২ মিটারের মতো লম্বা হয়। এদের ওজন হয় ৪৫-৫০ কেজি। ডিমগুলো গাঢ় সবুজ রঙের হয়ে থাকে। একেকটি ডিমের ওজন প্রায় ৭০০ গ্রাম হয়। অস্ট্রেলিয়ায় এ পাখিগুলোর বাস। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ পাখির চাষ হচ্ছে। এরা শস্যদানা ও পোকামাকড় খায়। তবে সাফারি পার্কে এদের সাধারণ খাবারের সঙ্গে অন্যান্য খাবারও দেওয়া হয়।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, ১৮ ডিসেম্বর গয়াল পরিবারে নতুন বাচ্চা এসেছে। নতুন সদস্যসহ এখন পার্কে গয়ালের সংখ্যা হয়েছে ১০টি। নতুন পাওয়া সদস্যটি পুরুষ। ফুটফুটে বাচ্চাটি মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। নতুন বাচ্চাটি সুস্থ আছে।