ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হাতাহাতি

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য ফুল দিতে গিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রথম আলো

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে মুক্ত বাংলা ভাস্কর্য এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা-কর্মীরা এই সংঘর্ষে জোড়ান।

এ বিষয়ে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফুল দেন। এরপর শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও ছাত্রলীগ ফুল দেয়। বেলা ১১টার অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা ফুল দিতে গেলে হট্টগোল বাধে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, বাঁশের খণ্ড নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অবশ্য এতে গুরুতর কেউ আহত হননি। এ সময় সাংবাদিকেরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রথম আলো

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তা সমিতির এক নেতা বলেন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মকর্তা ফুল দিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে দুজন জুতা পায়ে মুক্ত বাংলায় ওঠেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন খান বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটজে দেখলেই বেরিয়ে আসবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে। জুতা আমার পায়ে ছিল। সেটা আমি খুলে সিঁড়ির দ্বিতীয় ধাপে রাখি। পরে নিচে রেখে দিই। পায়ে জুতা নিয়ে মুক্ত বাংলায় ওঠার অভিযোগ একটা খোঁড়া যুক্তি।’

এ ব্যাপারে জানার জন্য কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মো. মোর্শেদুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।