ইয়াবা আত্মসাৎ, দুই পুলিশ প্রত্যাহার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছিলেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম। পরে ইয়াবা রেখে ওই পাচারকারীকে ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু উদ্ধার করা ইয়াবা থানায় জমা দেননি। বিষয়টি পুলিশ বিভাগে জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার এসআই সাইফুল ইসলাম ও এক কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার করা কনস্টেবলের নামও সাইফুল ইসলাম।

ঘটনাটি গত বুধবার রাতের হলেও বিষয়টি থানা-পুলিশ গোপন রেখেছিল। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, জড়িত পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করলেও সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা ফোন ধরেননি।

তবে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়াবা বড়ি উদ্ধারে যান থানার এসআই সাইফুল ইসলাম। এ সময় তিনি ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লার দেহরক্ষী কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকেও সঙ্গে নেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক হাজারের মতো ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে তাঁরা আটক করেন। ওই পাচারকারী আবার পুলিশের তথ্যদাতা। ফলে ইয়াবা রেখে পাচারকারীকে ছেড়ে দেন এসআই সাইফুল। কিন্তু ইয়াবাগুলো তিনি থানায় জমা দেননি এবং জব্দও দেখাননি। পুরো বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তাঁদের প্রত্যাহার করে। এরপর তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।