ইয়ারফোন লাগিয়ে কথা বলতে বলতে ট্রেনের নিচে তরুণটি

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর মাঝপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট রেললাইনে শনিবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রেনে কাটা পড়া।
প্রতীকী ছবি

কানে ছিল ইয়ারফোন। সেটা দিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন রেললাইনের ওপর বসে। ফলে ট্রেনের হুইসেল, আশপাশের মানুষের চিৎকার—কিছুই তাঁর কানে যায়নি। মুহূর্তেই ট্রেন চলে যায় তাঁর ওপর দিয়ে। ট্রেন চলে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার বেলা দুইটার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর মাঝপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণের নাম আল-আমিন (২২)। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জের পাঠানচক গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে।

সিলেট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) দ্বীপন কুমার ঘোষ ট্রেনে কাটা পড়ে তরুণের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট রেলস্টেশন থেকে দুপুরে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তরুণটি মারা যান। রেললাইনের পাশে দ্বিখণ্ডিত লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ট্রেনে কাটা পড়ার আগে আল-আমিনকে রেললাইন এলাকার আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন কাটালপুর-মাঝপাড়া গ্রামের একাধিক মানুষ। রেললাইনে কাটা পড়ার আগ মুহূর্তে আল-আমিনকে সতর্ক করা দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুপুরবেলা গরম পড়ায় রেললাইনের আশপাশে গাছের ছায়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন তাঁর ভাই। কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে মুঠোফোনে গান শুনছিলেন তিনি। এক সময় ফোনে কল এলে তিনি রেললাইনে বসে কথা বলতে শুরু করেন। ফলে তাঁকে সতর্ক করার চেষ্টা কাজে লাগেনি।