ঈদে তিস্তার পাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়

দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা সেতু এলাকাছবি: প্রথম আলো

প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রংপুরের বাসিন্দারা। রংপুরের তাজহাট জমিদারবাড়ি, চিড়িয়াখানা, কালেক্টরেট সুরভী উদ্যান, চিকলি পার্ক, প্রয়াস সেনা পার্ক এবং গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া এলাকার তিস্তা নদীতীরবর্তী সব বিনোদনকেন্দ্রই তিন দিন ধরে শিশু, নারীসহ সব শ্রেণি–পেশার মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে আছে।

ঢাকা থেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে রংপুরে এসেছেন আবদুল মুঈদ। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি ঘুরতে এসেছেন তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গঙ্গাচড়ার মহিপুর শেখ হাসিনা সেতু এলাকায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রচণ্ড গরম আর সূর্যের খরতাপ। ভ্যাপসা গরমে বাড়িতে টেকা দায়। তাই তিস্তা নদীর পাড়ে ছুটে আসা। এখানে নদীর বাতাসে মন জুড়িয়ে যায়। মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা।

কেউ কেউ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নদীতে ঘুরছেন। তিস্তা সেতু এলাকায় বেড়াতে আসা সংস্কৃতিকর্মী আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভালো লেগেছে।

চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ শিশু মা-বাবার হাত ধরে ঘুরছে, রাইডে চড়ছে। সন্তানদের নিয়ে এভাবে ঘুরে বেড়ানোয় বেশ আনন্দ লাগছে বলে জানান সুলতানা নামের এক গৃহিণী। তিনি বলেন, এখানে অনেক গাছগাছালি। ছায়ায় ঘেরা। গরমের মধ্যেও এখানে হাঁটাচলা করতে স্বস্তি আছে। সন্তানদের আনন্দ লাগছে, এটিই বড় পাওয়া।

দর্শনাথীদের ভিড় দেখা যায় ঐতিহাসিক তাজহাট জমিদারবাড়িতেও। এ ছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর ও জিলা স্কুলের মাঠেও শিশু-কিশোরদের ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। রংপুর জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রশিদুল আলম বলেন, দিগন্তজোড়া মাঠ। মুক্ত হাওয়া পেতে ছুটে এসেছেন অনেকেই। অনেক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গেও দেখা হলো।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুই দিনে জেলায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জানা যায়নি। প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।