ঈদের মসলার বাজার গরম

ঈদুল আজহায় কোরবানির মাংস রান্নার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান গরমমসলা। ঈদ সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার এই মসলার বাজার গরম হয়ে উঠেছে। কয়েক মাস ধরে বাড়ানো হয়েছে এলাচি, দারুচিনি, জিরাসহ গরম মসলার দাম। কেজিপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে ২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

আমদানিকারক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে সৈয়দপুরে ছোট এলাচি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৪০ টাকায়, যা মাসখানেক আগে ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৬২০ টাকার বড় এলাচি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। দারুচিনি ২৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা। লং ৭২০ থেকে বেড়ে ৮২০ এবং গোলমরিচ ৩০০ থেকে হয়েছে ৪০০ টাকা। জিরা ২৮০ থেকে বেড়ে ৩২০ এবং ধনিয়া ৯০ টাকা থেকে এক মাসে বেড়ে ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

উপজেলা শহরের কমল বিশ্বাস স্টোরের মালিক কমল বিশ্বাস বলেন, পাইকারি দামের চেয়ে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আরও ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

পৌর বাজারের আব্বাস আলী নামের একজন ব্যবসায়ী জানান, কোরবানিতে মসলার চাহিদা বাড়লেও বিয়ে, হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ সারা বছরই ঘরে ঘরে এর চাহিদা থাকে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে কোরবানি হলে চলতি জুলাই মাসজুড়ে গরমমসলার পাইকারি বাজার গরম থাকবে। আড়তে দেশি গোটা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকা কেজি, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ ২০০-২১০ টাকা।

এদিকে মাংস রান্নার অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বাজারেও ঊর্ধ্বগতি। গত সপ্তাহের চেয়ে পাঁচ-সাত টাকা বেড়ে ভারতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, পাবনা ও তাহেরপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের রপ্তানিনীতি, উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ওঠা–নামা করে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ মজুতের সুযোগ নেই। দেশি রসুন ১২০ টাকা, আর আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি।

খুচরা ক্রেতারা বলছেন, মসলায় খুচরা ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ঠকছেন। এলাচিসহ দামি মসলাগুলো অনেক সময় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করেন খুচরা বিক্রেতারা। তাই নজরদারি বাড়াতে হবে প্রশাসনের।

জানতে চাইলে ইউএনও এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মসলা ব্যবসায়ীরা যাতে ভোক্তাদের কাছে বেশি দাম নিতে না পারেন, তার জন্য নজর রাখছি। প্রয়োজনে মসলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসা হবে।’