ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ষণের মামলায় পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এক ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে ইজাজুল হক (২১) নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ইজাজুল হক গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। তাঁর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের বড়হিত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে।

আজ বুধবার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইজাজুল হককে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।

মামলার এজাহার ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছাত্রীটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তার সঙ্গে মুঠোফোনে ভুল নম্বরের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে ইজাজুল হকের। মঙ্গলবার তাকে ফোন করে বিয়ে করার কথা জানান ইজাজুল। এরপর তিনি রাতে বাড়িতে আসেন। ইজাজুলের ডাকে সে (ছাত্রী) পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ির পাশে নিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে ইজাজুল চলে যেতে উদ্যত হন। সে (ছাত্রী) ইজাজুলকে জাপটে ধরে চিৎকার করতে থাকে। পরে বাড়ির লোকজন এসে ইজাজুলকে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার লোকজনকে জানানো হলে তাঁরা ছাত্রীর বাড়িতে আসেন।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ইজাজুলকে ছাড়িয়ে নিতে তাঁর লোকজন ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালান। বাধা দিতে গিয়ে ইউপি সদস্য শামছুল হক, ইসরাফিল হোসেনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। খবর পেয়ে রাজীবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম মোতাব্বিরুল ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ থানায় খবর পাঠান। পরে পুলিশ এসে ইজাজুল হককে থানায় নিয়ে যায়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশের সদস্য ইজাজুলকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পাঠানো হবে।