ঈশ্বরদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আজ রোববার তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলার পাকশী লালন শাহ সেতুর গোলচত্বরে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন উল্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আরেকটি দুর্ঘটনায় ট্রাকের ধাক্কায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত এক নছিমন চালকের মৃত্যু হয়েছে।

লালন শাহ সেতুর কাছে নিহত দুজন হলেন ভেড়ামারা উপজেলার চরদামুকয়ি গ্রামের আবদুল খালেক (৩৩) ও পশ্চিম বাহিরচর গ্রামের আনিছুর রহমান (৪৪)। তাঁরা নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক ছিলেন। তাঁরা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রূপপুরে যাচ্ছিলেন।

এই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেন, নছিমনে পাঁচজন শ্রমিক ছিলেন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে লালন শাহ সেতু পার হওয়ার সময় টোল প্লাজা গোলচত্বরে গিয়ে নছিমনটি উল্টে যায়। এতে নছিমনে থাকা পাঁচ শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উল্টে যাওয়া নছিমনটি পুলিশি হেফাজতে আছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

এদিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ছিলিমপুর এলাকায় আওতাপাড়া-পাকশী সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় আবদুর রহমান (৪৫) নামের শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন চালকের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে। তিনি আওতাপাড়া থেকে নিজের গ্রামে যাচ্ছিলেন।

ঈশ্বরদী থানার ওসি বলেন, আবদুর রহমান নছিমনে করে মাছ বিক্রি করেন। পাবনার বিভিন্ন এলাকায় মাছ বিক্রি শেষে তিনি সকাল ১০টার দিকে খালি নছিমন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দ্রুতগামী একটি ট্রাক নছিমনটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে চালক আবদুর রহমান গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নছিমনটি উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক ও চালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।