উঁচু–নিচু পথে ‘সাইক্লিং রেস’

সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটি আয়োজিত রোমাঞ্চকর ‘মাউন্টেন সাইক্লিং রেস’। গতকাল সকালে সিলেটের মালনীছড়া চা-বাগানেছবি: প্রথম আলো

টিলায় টিলায় চা-বাগান। মাঝখানে সরু পথ। উঁচু–নিচু টিলার পাদদেশের পথ আঁকাবাঁকা। মেঠো পথের মতো চা-বাগানের রাস্তায় রোমাঞ্চকর সাইকেলযাত্রার মধ্য দিয়ে শুক্রবার সিলেটে হয়ে গেল ‘মাউন্টেন সাইক্লিং’।

সিলেট শহরতলির মালনীছড়া চা-বাগানে এই আয়োজন করেছিল সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটি। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ মাউন্টেন সাইক্লিং রেস জনপ্রিয়। সিলেটে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশে চতুর্থবারের মতো মাউন্টেন সাইক্লিং রেস শেষ হয়েছে।

মালনীছড়া উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা-বাগান হিসেবে পরিচিতি। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৪৯ সালে চা-বাগান স্থাপন করা হয়। ১৮৫৪ সাল থেকে চালু হয় বাগানটি। ১ হাজার ৫০০ একর জায়গার এ চা-বাগানজুড়ে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য টিলা। টিলার পাদদেশে থাকা সরু পথ দিয়ে মাউন্টেন সাইক্লিং শুরু হয় শুক্রবার সকাল সাতটায়।

আয়োজকেরা জানান, মাউন্টেন সাইক্লিং বা পাহাড়-টিলার পথে সাইকেলযাত্রা সাইকেল কমিউনিটির কাছে রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতা। বিশ্বে জনপ্রিয় এ প্রতিযোগিতা সিলেট ছাড়াও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে তিন দফা আয়োজন হয়েছে। সিলেটের আয়োজনটি ছিল বাংলাদেশে চতুর্থ।

দুটি বিভাগে মালনীছড়া চা–বাগানে মাউন্টেন সাইক্লিং প্রতিযোগিতা হয়েছে। এতে সারা দেশের ১১৫ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। এর মধ্যে নারী বিভাগে ১০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। পুরুষদের জন্য ২৫ কিলোমিটার আর নারীদের জন্য ১৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। নারী বিভাগে সাদিয়া সিদ্দিকী প্রথম, মনিকা সিনহা দ্বিতীয় ও দোলা বড়ুয়া তৃতীয় স্থান লাভ করেন। পুরুষ বিভাগে মাহতাব ইবনে আজাদ প্রথম, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দ্বিতীয় ও তাহসিন আহমদ তৃতীয় হয়েছেন।

চতুর্থ মাউন্টেন সাইক্লিংয়ে পৃষ্টপোষকতা করেছে সুপারক্রিট সিমেন্ট। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন আলী কামাল, নুসরাত জাহান, রাফি শাহ ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

প্রতিযোগিতা পরিচালনায় ছিলেন ওরাকাতুল জান্নাত। এ ছাড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপে দায়িত্ব পালন করেন সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন সৈয়দ সুহাগ, কাজী ওহিদ, হাসান আহমেদ, কামরুল ইসলাম ও আবু সালেহ।

সকাল সাতটা থেকে শুরু প্রতিযোগিতা শেষ হয় সকাল ১০টায়। বিজয়ীদের হাতে টাকা, সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় সমাপনী অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া সব প্রতিযোগীকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে পদক দেওয়া হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং এহতেশাম চৌধুরী প্রমুখ।