উখিয়ায় র‍্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, রোহিঙ্গা যুবক নিহত

বন্দুকযুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাবের দাবি, নিহত ওই যুবক শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত ও সন্ত্রাসী। তাঁর নামে ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্র, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় ও নারী নির্যাতনের একাধিক মামলা আছে।

নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম করিমুল্লাহ ওরফে কলিম উল্লাহ (৩২)। তিনি উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-২ (ইস্ট) সি ব্লকের নীর আহমেদের ছেলে।

র‌্যাব-১৫-এর উপ–অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ তানভীর হাসান বলেন, মধুরছড়া এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত ও সন্ত্রাসী গ্রুপের অবস্থানের খবর পেয়ে র‌্যাব অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা গুলি ও হামলা চালায়। এ সময় র‍্যাবের দুজন সশস্ত্র সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে ডাকাত করিমুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত দুই র‌্যাব সদস্যকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রঞ্জন বড়ুয়া রাজন বলেন, রাতে র‍্যাবের সদস্যরা আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে সাধারণ পোশাকে একজন ও র‍্যাবের দুই সদস্য ছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই সাধারণ পোশাকে থাকা একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, নিহত রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।