উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে কয়েক শ ঘর

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ আগুন লাগার পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আজ সোমবার বিকেলেছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নেভানো যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া, রামু, টেকনাফ ও কক্সবাজার স্টেশনের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে।

আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কয়েক শ ঘর পুড়ে গেছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজারের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। পাশের ব্লক থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, বিকেলের দিকে আগুন লাগার পর দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে।

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ আগুন লাগার পর রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সরানো হচ্ছে। আজ সোমবার বিকেলে
প্রথম আলো

শরণার্থী ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন বলেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুপুরে আগুনের সূত্রপাত। আগুন এখনো জ্বলছে। তবে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য সবাই একযোগে কাজ করছেন। এখনো পর্যন্ত কী পরিমাণ রোহিঙ্গাদের বসতির ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যায়নি।

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ আগুন লাগার পর রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সরাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। আজ সোমবার বিকেলে
প্রথম আলো

উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন জানান, উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয় লোকজন কাজ করছেন।