উখিয়ায় গ্যাসের আগুনে ৬ রোহিঙ্গা দগ্ধ

আগুন
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে গ্যাসের চুলার আগুনে একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন রোহিঙ্গা দগ্ধ হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের বাসিন্দা নুর আলমের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন নুর আলম, তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও পাশের ঘর থেকে আগুন নেভাতে আসা দুই ব্যক্তি। তাৎক্ষণিকভাবে আলম পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের নাম জানা যায়নি।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা জানান, আজ সকালে নুর আলমের রান্নাঘরের গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে ঘরে আগুন ধরে যায়। খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় নুর আলমের পরিবারের সবাই দগ্ধ হন। এ সময় প্রতিবেশী দুজন আগুন নেভাতে এলে তাঁরাও দগ্ধ হন। পরে ক্যাম্পের অন্য বাসিন্দারা দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান।

১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক বলেন, বর্তমানে অগ্নিদগ্ধ ছয় রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ–শিশু ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রান্নাঘরের গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

রোহিঙ্গারা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে তাঁরা খুব একটা অভ্যস্ত নন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থাকতে তাঁরা কখনো গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না করেননি। ২০১৭ সালে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর তাঁরা প্রায় এক বছর আশপাশের বনাঞ্চলের কাঠ ব্যবহার করে রান্না করেছেন। ওই এক বছর আশ্রয়শিবিরে কোনো অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়নি। তবে জ্বালানি কাঠের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ হচ্ছে। এর মধ্যে গত চার বছরে ১৭টির বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৫ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। আগুনে পুড়েছে ১৬ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বসতি।