উজিরপুরে ইউপি কার্যালয়ে হামলা, আহত ৫

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার বেলা একটার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক সাতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ হাওলাদারের (৪৩) নেতৃত্বে ৩০–৩৫ জন ইউপি কার্যালয়ে ঢুকে বর্তমান চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী খায়রুল বাশার ওরফে লিটনের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এ সময় কার্যালয় তছনছ ও পাঁচ সমর্থককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকের বিরুদ্ধে একটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও আহত ব্যক্তিরা জানান, উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহীন মাহমুদ। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের প্রার্থী হন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাশার। কয়েক দিন ধরে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

খায়রুল বাশার অভিযোগ করে বলেন, ‘সাতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুর রশিদ, ছাত্রলীগকর্মী সুমন সরদার, মো. জসিমসহ ২০–২৫ জন কর্মী নিয়ে আমি ইউপিতে বসা ছিলাম। বুধবার বেলা একটার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন মাহমুদের ছোট ভাই সাতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সম্পাদক আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ৩০–৩৫ সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে ইউপিতে হামলা চালান। এ সময় সন্ত্রাসীরা ইউপি কার্যালয় তছনছ করে পিটিয়ে আমার কর্মী সুমন সরদার (৩০), সোহাগ (২৪), মো. হাবিবুল্লাহ (৩২), এবায়েদুল হক (২৩) ও ফুয়াদ হোসেনকে (২৭) আহত করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক যুবলীগের কর্মী রাসেল হাওলাদার বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন মাহমুদের ভাই আসাদ হাওলাদার একদল সন্ত্রাসী নিয়ে সাতলা পশ্চিম পাড় একতা বাজারে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দোকানে ভাঙচুর–লুটপাট করে দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’

তবে আসাদ হাওলাদার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারের সমর্থক সুমন সরদার আওয়ামী লীগ নেত্রীকে তুলে গালাগাল দেন। তাই আমি বিষয়টি জানতে পরিষদে গেলে ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালান। একতা বাজারে দোকানে হামলা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউল আহসান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও পরিষদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।