উদ্বোধনের অপেক্ষায় চার লেনের শেখ হাসিনা সড়ক

উদ্বোধনের অপেক্ষায় পায়রা বন্দরমুখী শেখ হাসিনা সড়ক। সম্প্রতি তোলাপ্রথম আলো

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা বন্দরমুখী চার লেন সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের সংযোগস্থল রজপাড়া থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার চার লেনের সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হলেও সুপ্রশস্ত সড়কটিতে এলাকার লোকজন ঘুরতে যাচ্ছে।

সড়কটি নির্মাণের ফলে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে সড়কপথে পণ্য পরিবহনে এক ধাপ অগ্রগতি হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কটির উদ্বোধন করবেন বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ সম্পর্কে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মহিউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, পায়রা বন্দরের কারণে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য আবাসন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৫০০ মানুষকে পুনর্বাসন করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী এসব উন্নয়নমূলক কাজসহ সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ খান আরও বলেন, নির্মাণকাজ সমাপ্ত উদ্বোধনের বিষয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি চার লেন সড়কটির উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৬০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২৪ মিটার। সড়কটি নির্মাণের জন্য ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণসহ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এই কাজ বাস্তবায়ন করেছে।

সড়কটির রজপাড়া প্রান্তে প্রবেশদ্বারে জিরো পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে শান্তির প্রতীক ‘পায়রা’র ডানা মেলা একটি ভাস্কর্য। সড়কের পাঁচটি স্থানে দৃষ্টিনন্দন কালভার্ট রয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষিজমির চাষাবাদ, জলাশয় ও খালের পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে এসব কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই দিকের ঢালে সবুজ ঘাস। দূরত্বভেদে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। তা ছাড়া সড়ক বিভাজনে রয়েছে ফুলসহ নানা জাতের গাছের চারা।