উন্নয়নকাজে খালের বালু,ঝুঁকিতে পড়েছে সড়কটিই

কাবিটা প্রকল্পের আওতায় সড়ক উন্নয়নের কাজ করছেন ইউপি চেয়ারম্যান। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বসতবাড়ি ও সড়ক।

খননযন্ত্র বসিয়ে খাল থেকে বালু তোলা হচ্ছে। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসা সেতুর পাশে
ছবি: প্রথম আলো

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নে খাল থেকে মাটি তুলে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় সড়ক উন্নয়নের কাজ করছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এলাকার বসতবাড়ি ও গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া পয়সারহাট সড়ক।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ভুক্তভোগী লোকজন অভিযোগ করলেও ওই কাজ বন্ধ হয়নি।

সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের কাজুলিয়া মাদ্রাসা সেতু থেকে ফকিরবাড়ি পর্যন্ত ২০০ মিটার সড়কে বালু ভরাট করে উন্নয়নকাজ চলছে। এ জন্য সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া খালের কাজুলিয়ার ফকিরবাড়ির সামনে খননযন্ত্র বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাখন লাল দাস।

কাজুলিয়া গ্রামের সরদার বাড়ির দবির আলী সরদার (৫৮) বলেন, ‘খালের মধ্যে খননযন্ত্র বসিয়ে পাঁচ দিন ধরে বালু উত্তোলন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাখন লাল দাসের লোকজন। এর আগেও ওই স্থান থেকে এভাবে বালু তোলা হয়েছিল। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমার বসতবাড়ি যেকোনো সময় খালের মধ্যে ধসে পড়বে। চেয়ারম্যানকে এ সমস্যার কথা জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি।’

একই গ্রামের ইকবাল হাওলাদার (৫০) বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান খাল থেকে মাটি তুলে সড়কটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। বালু তোলার ফলে সড়কের ঢাল থেকে মাটি সরে গেছে। সড়কের ওই স্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে ফাটল ধরাসহ বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

ইকবাল হাওলাদার অভিযোগ করেন, কাবিটার কাজ স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে করানোর কথা থাকলেও চেয়ারম্যান তা করছেন না। অসদুদ্দেশ্যে নিজের লোকজন দিয়ে সরকারি খাল থেকে তিনি বালু উত্তোলন করছেন।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাখন লাল দাস বলেন, স্থানীয় তহশিলদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়ে ওই খাল থেকে বালু তোলা হচ্ছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। কাজুলিয়া সদর উপজেলার পূর্ব দিকের সর্বশেষ ইউনিয়ন। এটি চোখের আড়ালে থাকায় আমাদের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ কাজ করা হচ্ছে।’