উপনির্বাচন সোমবার, এজেন্ট পাচ্ছে না জাতীয় পার্টি

লক্ষ্মীপুর–২ আসনের উপনির্বাচনের ভোট আজ সোমবার। জেলার রায়পুর ও সদর উপজেলার আংশিক নিয়ে গঠিত আসনটি। এই আসনে প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

তবে নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট–সংকটে জাতীয় পার্টি। এতে হতাশা হয়ে পড়েছেন দলটির প্রার্থী। তাঁর দাবি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনের হুমকির কারণে এজেন্ট হতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। ঝামেলা এড়াতে অনেক নেতা-কর্মীই মাঠে নেই। আওয়ামী লীগ বলছে, নিজেদের কোন্দলে এজেন্ট পাচ্ছেন না তাঁরা।

জাতীয় পাটির প্রার্থীর একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, প্রতিটি বুথে একজন করে পোলিং এজেন্ট দেওয়ার কথা। সেই হিসেবে ৯৭৫ জন এজেন্ট প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত ৬০০ জন এজেন্ট পেয়েছেন। তবে প্রতিটি বুথে না হলেও প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়া হয়েছে।

উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন নুরউদ্দিন চৌধুরী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শেখ মোহাম্মদ ফায়িজ উল্যাহ ওরফে শিপন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

শেখ মোহাম্মদ ফায়িজ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি গ্রামে তাঁর দলের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ অবস্থায় কেউ পোলিং এজেন্ট হতে চাইছেন না।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। হুমকির অভিযোগ তুলে মিথ্যাচার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। জাতীয় পার্টির মধ্যে কোন্দলের কারণে কেউ পোলিং এজেন্ট হতে চাইছেন না।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর-২ আসনে থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন তাঁর আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। আসনটিতে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৩৬ টি। মোট বুথ ৯৭৯ টি। এর মধ্যে ৮৫টি ভোটকেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৯ জন। নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবেন ১৩৬ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আশা করছি, ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে এসে তাঁদের ভোট দিতে পারবেন।’