উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের অপসারণ দাবি

উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের মানববন্ধন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান ও সহ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তাঁদের অপসারণ দাবি করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে শিক্ষকেরা এই দাবি জানান।

কর্মসূচি চলাকালে দেওয়া বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অপূর্ণ। এখানে শিক্ষক প্রতিনিধি নেই বললেই চলে। যে কয়েকজন আছেন, তাঁরা রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার আইনগত কোনো অধিকার এই সিন্ডিকেটের নেই। সম্পত্তি ইজারা দিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ সিন্ডিকেট, শিক্ষক সমিতি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মতি দরকার।

ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য কাদের নিয়ে বৈঠক করেন? যাঁরা নিয়োগ–বাণিজ্যের জন্য লোক ধরে আনবেন, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার চেয়ে নিয়োগ দিতে বেশি আগ্রহী। তিনি ‘পকেট নীতি’ ধারণ করেন এবং পকেট নীতিতে বিশ্বাস করেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই, দুর্নীতিবাজ যত বড়ই হোক, তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র ভূমি থেকে নামানো হবে।’

সুলতান-উল-ইসলাম আরও বলেন, ‘বাসভবনে অনিয়ম নিয়ে উপাচার্যের আর্থিক দণ্ড হয়েছে। তবু তাঁর কোনো লজ্জা নেই। আমরা বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ চাই। উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের মতো দুর্নীতিবাজদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো জায়গা নেই। যেহেতু উপাচার্যের অনিয়ম, অত্যাচার থেমে নেই সেহেতু আমাদের আন্দোলনও চলবেই।’

মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পুরনজিত মহালদার। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।