এএসআই রাহেনুলসহ সব আসামির দ্রুত বিচারের দাবি এলাকাবাসীর

রংপুরে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলামসহ সব আসামির দ্রুত বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। আজ শুক্রবার সকালে রংপুরের হারাগাছ এলাকার ময়নাকুটিতেপ্রথম আলো

রংপুর মহানগরের হারাগাছে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাহেনুল ইসলামসহ সব আসামির দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় হারাগাছের ময়নাকুটি এলাকায় এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ওই এলাকার আনোয়ারুল ইসলাম, হাসিনুর রহমান ও তৌফিকুর রহমান। এ ছাড়া সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, বাসদ জেলা কমিটির সমন্বয়ক আবদুল কুদ্দুস, কমিউনিস্ট পার্টি মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাতুনুজ্জামান প্রমুখ।

গত রোববার সকালে রংপুর মহানগরের হারাগাছ থানার কেদারের পুল এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এএসআই রাহেনুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রাহেনুল ওই ছাত্রীকে নিজের নাম রাজু বলে জানান। সম্পর্কের সূত্র ধরে গত রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে কেদারের পুল এলাকার এক নারীর (আসামি) ভাড়াবাড়িতে ডেকে নেন রাহেনুল। সেখানে রাহেনুল ওই ছাত্রীকে নিজে ধর্ষণের পর আরও দুজনকে দিয়ে ধর্ষণ করান। এ সময় ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখান থেকে বের হয়ে সে টহল পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

আরও পড়ুন

ওই দিন রাতেই রংপুর মহানগরের হারাগাছ থানায় রংপুর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজুকে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা। মামলায় এএসআই রাহেনুল ও এক সহযোগী নারীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তের ভিত্তিতে এএসআই রাহেনুলসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য চার আসামি হলেন যে বাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, ওই বাড়ির ভাড়াটে দুই নারী, লালমনিরহাট সদর এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৪২) ও বাবুল হোসেন (৪০)। এই মামলায় এএসআইসহ পাঁচ আসামি এখন রংপুর কারাগারে।

অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রাহেনুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন