এএসআই সৌমেন বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

কুষ্টিয়ায় শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে
তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ায় গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত খুলনার ফুলতলা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে রেঞ্জ কার্যালয় ও খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান বলেন, এসএসআই সৌমেন রায় ছুটি না নিয়ে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনার পর জানতে পারেন সৌমেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় গঠিত কমিটির সভাপতি হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদ। অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মো. খায়রুল আলম ও জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ শেখ মাসুদুর রহমান। কমিটি সাত কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এ ছাড়া খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদকে। অন্য সদস্যরা হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ও কুষ্টিয়া ডিআইও-১ ফয়সাল হোসেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি (এডমিন) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন, সৌমেন রায়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করবে। দুই কার্যদিবসে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

আরও পড়ুন

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শহরের পিটিআই সড়কের মুখে তিনতলা ভবনের সামনে আসমা খাতুন ও তাঁর ছয় বছর বয়সী ছেলে রবিন এবং শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আসমার স্বামী এএসআই সৌমেন রায়কে পিস্তলসহ আটক করে।

সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসবা গ্রামে।

রবিন আসমার দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। আর নিহত শাকিল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে। আসমা ও শাকিলের বাড়ি একই উপজেলায়।

আরও পড়ুন