এক ঘণ্টার জন্য জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে কিশোরী নাদিরা

এক ঘন্টার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতীকী দায়িত্ব পাওয়া নাদিরা জাহানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান
প্রথম আলো

এক ঘণ্টার জন্য বরিশালের জেলা প্রশাসকের প্রতীকী দায়িত্ব পালন করেছে কিশোরী নাদিরা জাহান। গতকাল মঙ্গলবার সে এই দায়িত্ব পালন করে। নাদিরা বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
নাদিরা জাহান মঙ্গলবার দায়িত্ব পেয়ে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের কাছে কিশোর গ্যাং নির্মূল, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ ও জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের পুনর্বাসনের বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, ‘নাদিরার সুপারিশগুলোর সবই শিশু-কিশোরীদের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। সরকার এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আমরা আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের শিশু-কিশোরদের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই।’
আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের কাছ থেকে জেলা প্রশাসকের প্রতীকী দায়িত্ব নেয় নাদিরা। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স।

দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলা প্রশাসক তাঁর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভায় অংশ নেয় নাদিরা। সভায় প্রতীকী জেলা প্রশাসক নাদিরা ও বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বক্তব্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্সের (এনসিটিএফ) সভাপতি কথক বিশ্বাস।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহারুখ সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ‘গার্লস টেকওভার’ শীর্ষক একটি প্রতীকী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মেয়েরা যে সমান সুযোগ ও অধিকার পেলে সমানভাবে শিখতে, নেতৃত্ব দিতে, সিদ্ধান্ত নিতে ও সাফল্য পেতে পারে, তা প্রতিবছর বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। এ বছর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতীকী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী মেয়েরা সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে কিছু সময়ের জন্য প্রতীকী ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সমতার দাবি তুলে ধরে।