এক ভবনের সৌন্দর্যবর্ধন করতেই গেল দেড় বছর

ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি আছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চেয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।

ভবন নির্মাণের কাজ শেষ। কিন্তু গত দেড় বছরেও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ হয়নি। সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে
ছবি: প্রথম আলো

অগ্নিনির্বাপণের জন্য গাড়ি আছে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবলও আছে। ভবন নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। এরপরও যশোরের কেশবপুরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চালু হচ্ছে না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ভবনের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এখনো বাকি। আর এ কাজের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের অপেক্ষায় আছে গণপূর্ত বিভাগ।

কেশবপুরের আলতাপোল এলাকায় ২০১৮ সালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণাধীন ওই ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড থেকে জানা যায়, প্রায় ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকায় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হওয়ার কথা এক বছরে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা আছে সালাম কনস্ট্রাকশন। বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ।

কাজ শেষ করার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই বাকি কাজ শেষ করা হবে।

কেশবপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেন মনিরামপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে। জানা গেছে, কেশবপুর স্টেশনের জন্য ২টি গাড়ি, সাব কর্মকর্তা, ১৬ জন ফায়ার ফাইটার, ৪ জন চালক আছেন। কিন্তু কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় তাঁরা মনিরামপুর কার্যালয়ে দায়িত্বে আছেন।

মনিরামপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় বছরে কেশবপুরে হওয়া ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেকর্ড আছে তাদের কাছে। এসব ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় চার লাখ টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে আর নিহত হয়েছেন ১ জন। কেশবপুরে স্টেশন স্থাপনের কাজে বিলম্ব না হলে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও কম হতো বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে কেশবপুর নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, শুধু ভবন নির্মাণের দীর্ঘসূত্রতার কারণে মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, তা মানা যায় না। বিলম্ব না করে দ্রুত কাজ শেষ করা উচিত।