এক মাস পরও গ্রেপ্তার নেই, আসামিরা দিচ্ছেন হুমকি

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় পঙ্গু মোজাম্মেল হোসেন হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক মাস পার হতে চলছে। কিন্তু তাঁকে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হননি। পরিবারের অভিযোগ, আসামিরা এলাকাতেই আছেন এবং তাঁদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।

হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গতকাল শনিবার সকালে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোজাম্মেল হকের পরিবারের সদস্যরা।

খাগডহর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মোজাম্মেল। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী শিউলি আক্তার বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে জমি–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই গ্রামের সুরুজ আলী ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাঠিপেটা করে মোজাম্মেলকে আহত করেন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তাঁরা বাধা দেন। পরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সহায়তায় মোজাম্মেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাম্মেল হকের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সুরুজসহ সাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। সুরুজ আলী খাগডহর ইউনিয়নের চৌকিদার। বাকি আসামিরা হলেন চান মিয়া, আবদুল হাই, আবদুল হালিম, হাফিজুল ইসলাম, কামরুন নাহার ও এলমা বেগম। তাঁরা সবাই কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোজাম্মেল ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০০৭ সালে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি পা হারান। পরে ডেইলি স্টার পত্রিকায় তাঁর মানবেতর জীবনযাপন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের (এপেক্স ক্লাব) সদস্যরা তাঁকে ৩০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা করেন। সেই টাকায় একটি দোকান দেন তিনি। সে দোকানের আয়ে তাঁর সংসার চলত।

শিউলি আক্তার বলেন, এক মাস হলেও কেউ গ্রেপ্তার হননি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।

খাগডহর ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁদের মধ্যে একবার মীমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি ফরিদ আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অসুস্থ। এ জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে।