একই গন্তব্যে যেতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারী ও তরুণের

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

যশোর সদর উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বাসের ধাক্কায় এক নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন এক মোটরসাইকেলের চালক। নিজ নিজ এলাকা থেকে দুজনই উপজেলার সাতমাইল বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে সাতমাইল ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সুমিত্রা দাস (৫৫) ও রাজন আহমেদ (২০)। সুমিত্রা দাস যশোর সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের সুশীল দাসের স্ত্রী। তিনি যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল বাজারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন। রাজন আহমেদ সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. খোকনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, আজ সকালে সুমিত্রা দাস একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দিয়ে সাতমাইল বাজারে যাচ্ছিলেন। সকাল ছয়টার দিকে ভ্যানটি সাতমাইল বাজার এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান থেকে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে সুমিত্রা দাস ঘটনাস্থলে মারা যান।

পুলিশ জানায়, সকালে রাজন আহমেদ সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সাতমাইল বাজারে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলটি গ্রামীণ সড়ক থেকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ওঠে। এ সময় পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিতে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে রাজন ঘটনাস্থলে মারা যান।

বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বারোবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উদ্দিন জানান, ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পালিয়ে গেছে। দুটি যান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।