একই পরিবারের চারজনকে পিটুনির ভিডিও ভাইরাল

জমি নিয়ে বিরোধে একই পরিবারের চার সদস্যকে পেটাচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের শৈলাট গ্রামে
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

এক বৃদ্ধ ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজনকে বেশ কয়েকজন মিলে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। মার খেয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও দুজনকে লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। এমন একটি ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুরের শ্রীপুরের শৈলাট দক্ষিণপাড়া গ্রামে শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। মারধরে আহত ব্যক্তিরা হলেন ওই গ্রামের মো. সেকান্দর আলী (৬০), তাঁর স্ত্রী রাজিয়া খাতুন (৪০), ছেলে জাফর ইকবাল (২৫) ও শ্যালিকা মিতালী ইসলাম (৩০)। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলার শিকার সেকান্দর আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবার বলছে, তাঁর হাত ও পা ভেঙে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস প্রথম আলোকে বলেন, রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর এক্স–রে করা হয়নি। এক্স–রে হলে শারীরিক অবস্থা বলা যাবে।

জমি নিয়ে বিরোধে একই পরিবারের চার সদস্যকে পেটাচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

আহত সেকান্দার আলীর মেয়ে সাগরিকা সুলতানার ভাষ্যমতে, ওই গ্রামের আহাম্মদ আলী (৫০), মো. আতিকুল ইসলাম (২৫), মো. হাফিজ (৩২), হাবিবুর রহমানের (৫৮) নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সেকান্দর আলীর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে সাত বিঘা জমি বেশ কিছুদিন ধরে জোর করে দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছিলেন হামলাকারীরা। শুক্রবার রাতে ওই জমিতে গাছ লাগিয়ে ও সীমানা খুঁটি স্থাপন করে প্রতিপক্ষ। শনিবার ঘুম থেকে উঠে গাছ লাগানো ও খুঁটি স্থাপন করার বিষয়ে জানতে পারেন তাঁরা। সেকান্দর আলী জমিতে গিয়ে দু-একটি চারা উঠিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান।

তাঁরা পিটিয়ে সেকান্দার আলীর হাত–পা ভেঙে ফেলেন। এরপর ছেলে জাফর ইকবাল বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও পেটানো হয়। রাজিয়া ও মিতালী ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। এ অবস্থায় তাঁরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য জানতে শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে উপস্থিত ফারজানা আক্তার নামের এক নারী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। উভয় পক্ষই মারামারি করেছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।