একই রঙের পাঞ্জাবি পরে ‘পাঞ্জাবি’ প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগ

সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফ ২০-২৫ জন তরুণকে একই রঙের পাঞ্জাবি পরিয়ে ‘পাঞ্জাবি’ প্রতীকে ভোট চান
প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থী সোমবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ দেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল বাছেদ সিকদার অভিযোগ করে বলেন, আশরাফের প্রতীক হচ্ছে পাঞ্জাবি। তিনি ভোটারদের একই রঙের পাঞ্জাবি কিনে দিয়ে গায়ে পরিয়ে শোভাযাত্রা করছেন আর ভোট প্রার্থনা করছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির ১৭ (ক)–এ বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চিহ্ন–সংবলিত শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। একই ধারার ‘গ’তে বলা হয়েছে, ভোটারদের কোনো প্রকার উপঢৌকন, বকশিশ ইত্যাদি প্রদান করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধির ১১ (২)–এ বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব কোনো প্রকার মিছিল-শোডাউন করা যাবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফ (পাঞ্জাবি প্রতীক) ২০-২৫ জন তরুণকে একই রঙের পাঞ্জাবি পরিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান। দুটি লাইনে সারিবদ্ধভাবে যুবকেরা টিয়া রঙের পাঞ্জাবি পরে ‘শোডাউনে’ অংশ নেন। সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরে আশরাফ শোডাউনের নেতৃত্ব দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান। এভাবে ২০-২৫ জন তরুণকে একই রঙের পাঞ্জাবি পরিয়ে নিয়ে ভোট চাওয়ায় এলাকায় তা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এলাকার অনেক যুবক পাঞ্জাবির আশায় আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমপক্ষে ২০০ জনকে বিভিন্ন রঙের একটি করে পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছেন। তবে শীত থাকায় ভোটাররা ওই সব নতুন পাঞ্জাবি এখন আর গায়ে দেবেন না।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফ আজ সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি ক্লাবের কিছু যুবককে সঙ্গে নিয়ে ভোট চেয়েছি, তবে কোনো শোভাযাত্রা করিনি ও ওই যুবকদের আমি পাঞ্জাবি কিনেও দিইনি। তাঁরা নিজেদের টাকায় ওই পাঞ্জাবি কিনেছেন। ওই ক্লাবের সব সদস্য আমার ভক্ত। ওরা স্বেচ্ছায় আমার নির্বাচন করছে।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আতাউল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েই আশরাফকে মৌখিতভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এরপর এভাবে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে একই রঙের পাঞ্জাবি পরে শোডাউন করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।