এখনো জমেনি সৈয়দপুরের ঢেলাপীর পশুর হাট

পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে পশু আসতে শুরু করলেও এখনো জমেনি নীলফামারীর সৈয়দপুরের ঢেলাপীর হাট। স্থানীয় ক্রেতাদের ভিড় না থাকলেও দেখা মিলছে অন্য শহর থেকে গরু কিনতে আসা মহাজনদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাশের নীলফামারী সদর, বড়ুয়া, দশমাইল, রানীরবন্দর, তারাগঞ্জ, পাকেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার খামারিরা কোরবানির পশু নিয়ে ঢেলাপীরহাটে আসছেন। হাটে গরু, ছাগল, ভেড়া উঠলেও ক্রেতাদের ভিড় খুব একটা চোখে পড়েনি। হাটে দেশি গরুর আধিক্য আছে। ভারতীয় গরুর সংখ্যা তুলনামূলক কম।

শহরের নতুন কয়ানিজপাড়া থেকে গরু কিনতে আসা মোকাররম বলেন, ‘হাটে এসেছি পশুর দাম যাচাই করতে। হাটে পছন্দের গরুর অভাব নেই। দিন যত যাবে, হাটে আরও ভালো গরু আসবে। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে।’

চম্পাতলি এলাকা থেকে গরু বিক্রি করতে আসা আইজুল বলেন, হাটে এখনো স্থানীয় ক্রেতারা আসতে শুরু করেননি। যা পশু বিক্রি হচ্ছে, তার বেশির ভাগ ক্রেতাই বাইরে থেকে এসেছেন। এই হাট থেকে গরু কিনে অন্য শহরগুলোতে আরও বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

দশমাইল এলাকার বিক্রেতা করিম বলেন, পশুর খাবারের দাম ও আগেভাগে পশু কেনার ঝামেলার কারণে ক্রেতারা এখনই হাটে আসছেন না। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা বেশি। হাটে বড় আকারের গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। মাঝারি আকারের গরুর দাম উঠেছে ৪৫ হাজার থেকে ৫৭ হাজার টাকা। আর ছোট আকারের গরুর দাম উঠেছে ২৮ থেকে ৪২ হাজার টাকা। ছাগলের দামও গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। মাঝারি থেকে একটু বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ২২ হাজার টাকায়।

এদিকে খাজনা রসিদের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন হাটের ইজারাদারেরা। প্রতিটি গরুর রসিদ কাটা হচ্ছে ৩৫০ টাকা, গত বছর যা ছিল ২৫০ টাকা। প্রতিটি ছাগলের রসিদ কাটা হচ্ছে ১৩০ টাকা। হঠাৎ রসিদের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলেন হাট ইজারাদারের কর্মী গোলাম মোস্তফা।

হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী, পাইকার ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য হাট প্রশাসন পুলিশের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ব্যবস্থা করেছে। ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বলছে, জাল টাকা চিহ্নিত করার যন্ত্রসহ হাটে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।