এজাহারভুক্ত দুই আসামির নাম বাদ দেওয়ায় প্রতিবাদ

ঢাকার ধামরাইয়ে সাংবাদিক জুলহাস হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদের সমাবেশ। ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে, ৭ মার্চ দুপুর। প্রথম আলো

ঢাকার ধামরাইয়ে বিজয় টেলিভিশনের সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিন হত্যার ঘটনায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত দুই আসামির নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে রোববার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে অভিযোগপত্রে দুই আসমির নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার পরপরই জুলহাস উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে জনতা শাহীন ও মোয়াজ্জেম হোসেন নামের দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ হত্যার ঘটনায় নিহত সংবাদিকের ছোট বোন রিনা বেগম ধামরাই থানায় মামলা করেন। মামলায় শাহীন, মোয়াজ্জেম হোসেন, আনিসুজ্জামান, শাহীনের ভায়রা মামুন ও মামুনের ভাই মালেককে আসামি করা হয়। কিন্তু মামুন ও মালেককে অব্যাহতি দিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত দুই আসামির নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।

সমাবেশে ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সমকালের ধামরাই প্রতিনিধি মোকলেছুর রহমান জানান, মামলার বাদী তাঁদের (সাংবাদিক) কাছে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রভাবিত হয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের ধামরাই প্রতিনিধি আবু হাসান বলেন, অভিযোগ থেকে যে দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ঘটনাস্থলেই ছিলেন। তাই তাঁদের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মামুন ও মালেক ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ কারণে অভিযোগ থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।