এবার আন্তনগর ট্রেনে ঢিল, পাঁচ যাত্রী আহত

প্রতীকী ছবি

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগিতে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনটির অন্তত পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নরসিংদী স্টেশনে প্রবেশের আগমুহূর্তে এ ঘটনা ঘটে।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকায় একাধিক বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর ট্রেনে ঢিল ছোড়ার মুহূর্তে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপবন ট্রেনটি ঢাকা-সিলেটের মধ্যে চলাচল করে। এটি ঢাকা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি পৌনে ১০টার দিকে নরসিংদী স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছায়। এমন সময় কয়েকটি বগিতে পরপর ঢিল ছোড়া হয়। দুর্বৃত্তরা ঢিল হিসেবে স্লিপারে থাকা পাথর ব্যবহার করে। এতে কয়েকটি বগির একাধিক জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে আঘাত করে। ঢিলে কারও মাথা ফেটে যায়। কারও নাকে আঘাত হানে। আঘাতপ্রাপ্ত প্রত্যেকে রক্তাক্ত জখম হয়। কয়েক মিনিট পরই ট্রেনটি নরসিংদী স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। তখন আহত কয়েকজন চিকিৎসার জন্য ট্রেন থেকে নেমে পড়েন।

‘ট’ বগিতে ছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের চণ্ডীবের মধ্যপাড়ার শামীম আহমেদ নামে একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানালেন, যাত্রীদের অনেকে ঢাকায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত, ওই মুহূর্তেই ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। আঘাতগুলো পরপর হয়েছে। মনে হয়েছে কয়েকজন পরিকল্পিতভাবেই ঢিল ছুড়েছে। কাচ ভেঙে অনেকের নাক, চোখ ও মুখে বিদ্ধ হয়েছে। তখন ভেতরে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈকত হক একজন। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকা থেকে ভৈরব আসবেন বলে তিনি ওই ট্রেনের আরোহী হয়েছেন। সৈকত হক জানান, আঘাতে তাঁর নাক ফেটে গেছে।
কথা হয়, ভৈরবের স্টেশনমাস্টার মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢিল ছোড়ার খবর তাঁর কাছে নেই। তবে খবর নিচ্ছেন।