এবারও আলোচনায় 'যুবরাজ'

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গতবার যুবরাজের দাম উঠেছিল ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু মালিক বিক্রি করেননি। এক বছর নিজের কাছে রেখে বেশ যত্নআত্তি করে পালন করেছেন। ভালো ভালো খাবার খাইয়েছেন। এখন যুবরাজ আরও তরতাজা হয়েছে। তার ওজন দাঁড়িয়েছে ৩৬ মণে। মালিকের আশা, এবার ভালো দাম পাবেন।

যুবরাজের মালিকের নাম মো. শাহ আলম। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। এবার কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তিনি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় যুবরাজের দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা।

এদিকে দুর্গাপুর গ্রামের আনুমানিক ৩৬ মণ ওজনের এই ষাঁড়কে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন। ষাঁড়ের সঙ্গে সেলফি ওঠানোর হিড়িকও পড়েছে। অনেকে আবার সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এ কারণে ষাঁড়টি আবারও এলাকায় আলোচিত হয়ে উঠেছে।

খামারের মালিক শাহ আলম মিয়া জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি স্থানীয় বাজার থেকে ছয় মাস বয়সে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। এখন তার বয়স চার বছর ছয় মাস। প্রতিদিন ষাঁড়ের খাবারের জন্য খরচ হয় প্রায় দুই হাজার টাকা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলেছে, প্রাণীটির ওজন ৩৫ থেকে ৩৬ মণ হবে। এবার ঈদে তিনি এর দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ১৯ লাখ টাকা দাম উঠেছে। গত বছর ঈদে এটির দাম ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তিনি বলেন, গরুটির পেছনে এ পর্যন্ত তাঁর ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ন্যায্যমূল্য না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি।

ওই গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান জানান, যুবরাজ তাঁদের গ্রামটিকে অনেক মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন একে দেখতে।

ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা দর্শনার্থী সেন্টু জানান, তাঁদের এলাকার অনেকে যুবরাজের গল্প করছিলেন। শুনে তিনিও এসেছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনন্দ কুমার অধিকারী বলেন, ঈদ আসতে এখনো কিছুদিন বাকি। এর মধ্যে যুবরাজের ওজন আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে শ্রেষ্ঠ গরু হিসেবে যুবরাজ জেলার মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে।