এমসি কলেজ ফটকে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, আটক ২

প্রতীকী ছবি

সিলেটে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ও চালকের টাকা, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় দুজনকে ধাওয়া দিয়ে আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে নগরের টিলাগড় এলাকার মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আটক দুজন হলেন নগরের পীরের বাজার তালেপাড়া গ্রামের ইমরান আহমদ (২৭) ও মেজরটিলা ইসলামপুরের মো. মিজানুর রহমান (২৬)।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে কলেজ ফটকের সামনে থেকে ঘুরতে আসা দম্পতিকে তুলে নিয়ে কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। এ ছাড়া ওই এলাকায় ঘুরতে আসা একাধিক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল। অপরাধ দমন ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজ ফটকে মহানগর পুলিশের সদস্যদের মোতায়ন করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ফটকের সামনে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে দুই তরুণ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের মালামাল তল্লাশি করছিল। তল্লাশির একপর্যায়ে যাত্রী ও চালকের মুঠোফোন, টাকা নিয়ে অন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই দুই তরুণ।

পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ও চালকের সন্দেহ হলে ধাওয়া দেন। এ সময় ওই দুই তরুণ এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে কলেজ ফটকে থাকা পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় লোকজন মিলে তাঁদের আটক করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, পুলিশের পরিচয়ে লোকজনের টাকা–পয়সা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে পালানোর সময় সন্দেহ হলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের সন্দেহ হয়। এ সময় তাঁরা ধাওয়া দিলে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহযোগিতায় দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের থানায় নেওয়া হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ কর্মকর্তা বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, পুলিশ প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে টাকা–পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। এতে অনেকের মধ্যেই পুলিশ সদস্যদের নিয়ে খারাপ ধারণা তৈরি হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।