এসএসসি পরীক্ষায় অটো পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গাজীপুরের টঙ্গীতে এসএসসি পরীক্ষায় অটো পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকালে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় ‘এসএসসি ব্যাচ-২০২১’-এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করে তারা। এ সময় এসএসসি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বাতিল করে অটো পাসের দাবি তোলে তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয় টঙ্গী ও আশপাশের এলাকার অন্তত ২০টি স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলেও তাতে অংশ নেয়নি অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় আগামী জুন থেকে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীদের দাবি, বাড়িতে থেকে কারও সেভাবে পড়াশোনা হয়নি। তা ছাড়া পরীক্ষার আগে যে সময় পাওয়া যাবে, তাতে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়াও সম্ভব নয়। তাই এইচএসসির মতো তাদেরও যেন জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয় টঙ্গী ও আশপাশের এলাকার অন্তত ২০টি স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, এইচএসসির মতো তাদেরও যেন জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করা হয়।
টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল আদি বলে, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় কোনো শিক্ষার্থীরই প্রস্তুতি ভালো নয়। এর মধ্যে পরীক্ষা হলে আমাদের আশানুরূপ ফল না পাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে কারও করোনা শনাক্ত হলে তো পরীক্ষাই দিতে পারব না। সে ক্ষেত্রে এক বছর পিছিয়ে পড়ব। তাই আমাদের দাবি, আমাদের ক্ষেত্রেও যেন জেএসসি ও পিএসসি ফল মূল্যায়ন করে অটো পাস দেওয়া হয়।’
শহীদ স্মৃতি স্কুলের শিক্ষার্থী মো. ফজলে রাব্বি বলে, ‘বলা হচ্ছে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও এত অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া অনলাইনে যে ক্লাস নেওয়া হয়েছে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাতে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তার চেয়েও বড় কথা, আমরা করোনাঝুঁকির মধ্যে পরীক্ষা দিতে চাই না। আমাদের ক্ষেত্রেও যেন অটো পাসের বিষয়টি বহাল থাকে।’
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবির কথা জানায়। দাবিগুলো হলো সেশনজট নিয়ে (করোনার বন্ধ) করোনাঝুঁকির মধ্যে পরীক্ষা না নেওয়া, এইচএসসির মতো তাদেরও জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করা, ফেব্রুয়ারির মধ্যে অটো পাসের ঘোষণা এবং নামমাত্র সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পদ্ধতি বন্ধ করা।