এসি ল্যান্ডের নির্দেশেও ব্যবস্থা নেননি কর্মকর্তা

খাসজমির মাটি বিক্রির অভিযোগ পেয়ে নান্দাইলের হাওলাপাড়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক মাস ধরে বিপুল পরিমাণ খাসজমির মাটি ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

খাসজমির মাটি বিক্রির অভিযোগ পেয়ে উপজেলার হাওলাপাড়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজুল হক। অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান মাটি খননকারী শ্রমিক ও নির্দেশদাতারা।

অভিযানের পর মাহফুজুল হক জানান, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নান্দাইল মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, বৃহস্পতিবার বা গতকাল শুক্রবার কেউ জিডি করতে আসেননি।

সরেজমিনে দেখা যায়, আচারগাঁও ইউনিয়নের হাওলাপাড়া গ্রামে সমতল ভূমিতে জমির পরিমাণ দেড় একরের কিছু বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতকের মাটি পাঁচ ফুটের বেশি গর্ত করে বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় হাবুল মিয়ার কাছ থেকে এসব মাটি কিনেছে এক কিলোমিটার দূরের গারুয়া গ্রামের আরকে ব্রিকস।

মাটি কাটায় গর্তের ফলে বর্ষাকালে আশপাশের গাছপালাসহ কৃষিজমিতে ভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন কৃষক। শামছুদ্দিন নামে এক কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অন্যরাও অন্যায় করতে উৎসাহিত হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইটভাটায় মাটি বিক্রয়কারীদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে খোদ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিনের। এক মাস ধরে মাটি কাটা হলেও ভূমি কার্যালয়ের কেউ খোঁজ নেয়নি। স্থানীয় আচারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযানের পর হাওলাপাড়া গ্রামের হাবুল মিয়া নামে একজন তাঁকে বলেছেন, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়কে ম্যানেজ করে ওই জায়গার মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় আচারগাঁও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে। এখনো জিডি না করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি এসি ল্যান্ড স্যার জানেন।